সারা বাংলা

লালমনিরহাটে মস্তকবিহীন মরদেহ, এবার মাথা ও ছুরি উদ্ধার

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভুট্টাক্ষেতে পাওয়া অজ্ঞাত পরিচয়ে মস্তকবিহীন মরদেহটির পরিচয় পাওয়ার একদিন পরে বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মাথা বিচ্ছিন্ন করতে ব্যবহৃত ছুরি এবং নিহতের ব্যবহৃত জ্যাকেটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। 

শনিবার (২০ জানুয়ারি) হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে ওই যুবকের মস্তক উদ্ধার করেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে থাকা (সিআইডি) পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল।

এর আগে শুক্রবার রাতে সিআইডি দলটি হাতীবান্ধা থানায় প্রথমত মস্তকবিহীন মানিকুলের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এর তদন্ত শুরু করেন।

নিহত মানিকুল ইসলাম (২৫) একজন ভ্যানচালক। তিনি হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গাটারি গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে। এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমণীগঞ্জ গ্রামের ভুট্টাক্ষেত থেকে পুলিশ এই মস্তকবিহীন মরদেহটি উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনায় মানিকুল ইসলামকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হয়।  তবে ধারণা করা হচ্ছে ভ্যান চুরির ঘটনার কারণে মানিকুল হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে ভুট্টা খেতে ঘাস তুলতে এসে এক নারী মস্তকবিহীন লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে সংবাদ দেন। পরে হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। 

নিহত মানিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে ফোনে তার স্বামীর সাথে কথা হলে তার স্বামী তাকে জানান, রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। কিন্তু রাত ৮ টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘণ্টা পর নিহত ওই যুবকের মস্তকটি একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।