সারা বাংলা

গুগলে তাপমাত্রা দেখে খোলা রাখা হয়েছে স্কুল

গুগল দেখে তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল খোলা রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে। তাপমাত্র ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।  

ঠাকুরগাঁও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে, আজ সকাল ৮টার দিকে ক্লাস শুরু হয় ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়য়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সকালে প্রচণ্ড শীত থাকে। এ অবস্থায় স্কুলে সন্তানকে পাঠাতে খুব কষ্ট হয়। এছাড়া, ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে সন্তানদের। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুল বন্ধের কোনো নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। জেলা থেকে স্কুল বন্ধের নির্দেশনা দিলে আমরা স্কুল বন্ধ দিয়ে দিতাম। আর এটা তো অনেকটা সমন্বয় করে দিতে হয়। যার ফলে এটা সময়ের ব্যাপার। হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ দেওয়া যায় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন আকতার বলেন, আমরা আজকে তাপমাত্রা গুগল-এ দেখতে পেয়েছি ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কৃষি সম্প্রসারণ থেকে তাপমাত্রার জানার সুযোগ থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাপমাত্রার হিসাব সংগ্রহ করবো। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল সাহ বলেন, আমরা সাধারণত সরাসরি বাতাসের যে তাপমাত্রাটা থাকে সেখান থেকে তাপমাত্রা নির্ধারণ করে থাকি। কোনো মোবাইল ডিভাইস বা গুগলে দেখানো তাপমাত্রা রেকর্ডের সঙ্গে আমাদের রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা ফলাফলের বিস্তর তফাত থাকবে।

ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. রফিউল আলম বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় কোনো আবহাওয়া অফিস নেই। রংপুর বা তেঁতুলিয়া থেকে আবহাওয়া তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। গুগলের মাধ্যমে পাওয়া আবহাওয়া বার্তা কিছুটা কনফিউশন সৃষ্টি করতে পারে।