সারা বাংলা

সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদে যুক্ত হলেন মুনমুন সেন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা মুনমুন সেন পাবনাস্থ সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

পাবনার সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সস্পাদক ড. নরেশ মধু সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার দুপুরে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের এক পর্যায়ে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সংযুক্ত হওয়ার জন্য মুনমুন সেনকে আহ্বান জানাই। আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি মেসেজের মাধ্যমে পরিষদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন মুনমুন সেন।’

সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেন বাঙালি ও ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়াম, মারাঠি এবং কন্নড় ছবিতে অভিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি বলিউড সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। ১৯৮৭ সালে সিরিভেন্নেলা ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি অন্ধ প্রদেশের নন্দী সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।

মুনমুন সেন তার অভিনয় জীবনের শুরু করেন বিয়ে এবং মা হবার পর। ১৯৮৪ সালে ‘অন্দর বাহার’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তার সিনেমা জগতে অভিষেক ঘটে। তিনি অনেক বিতর্কিত চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি তিনি কিছু বাংলা টেলিফিল্মেও কাজ করেছেন।

মুনমুন সেন ১৯৭৮ সালে ত্রিপুরা স্টেটের রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারীকে বিয়ে করেন। তিনি দুই কন্যার জননী। তারা হলেন, অভিনেত্রী রাইমা সেন এবং রিয়া সেন।

সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মুনমুন সেনকে পরিষদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু। 

সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আনন্দের খবর। মুনমুন সেন ইতিমধ্যে তার মা সুচিত্রা সেনের ব্যবহৃত শাড়ি, বই ও একটি ছবি পরিষদকে দিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুচিত্রা সেনের স্মৃতি রক্ষার্থে সহযোগিতা করবেন।’

সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক নিবাস ছিল পাবনায়। তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠাও পাবনায়। ১৯৪৭ সালে আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ের পর এ বাড়ি ছেড়ে কলকাতা চলে যান সুচিত্রা সেন। ১৯৬০ সালে সুচিত্রার বাবা পাবনার বাড়িটি জেলা প্রশাসনের কাছে ভাড়া দিয়ে সপরিবারে কলকাতায় চলে যান। সেই বাড়িতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা নির্মাণ করা হয়েছে।