পুঁতে ফেলার ২ বছর ৯ মাস পর কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতের বালুচর থেকে বিশাল আকৃতির একটি তিমির কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়েছে। গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে খননযন্ত্র দিয়ে সৈকতের বালু সরিয়ে শুরু করা হয় কঙ্কাল উদ্ধারের কাজ। পুকুরের আকারের বিশাল গর্ত খুড়ে ৭-৮ জন শ্রমিক কঙ্কাল তোলার কাজ করেন। এসময় সেখানে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন।
কঙ্কাল সংগ্রহের কাজে যুক্ত ছিল কক্সবাজার বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। সংগ্রহের পর এই কঙ্কাল জাতীয় জাদুঘরে দর্শনার্থীদের প্রদর্শন করা হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, পুঁতে ফেলা তিমির শরীরের মাংস এতো দিনে ঝরে গেছে। এখন কঙ্কাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত সোমবার বিকেলে বালুর নিচ থেকে তিমির শরীরের অনেক হাড়গোড় সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি কক্সবাজার সমুদ্র মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে নেওয়া হবে। সেখানে হাড় জোড়া দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল তৈরি করে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য স্থানান্তর করা হবে।
২০২১ সালের ২১ এপ্রিল মৃত তিমিটি হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে। পরে সৈকতের বালুচরে গর্ত খুঁড়ে তিমি মাছটি পুঁতে ফেলা হয়। তিমিটির ওজন ছিল প্রায় ৯ মেট্রিক টন। প্রাণীটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪৬ ফুট ও প্রস্থ ১৬ ফুট। গভীর বঙ্গোপসাগরে তিমিটির মৃত্যু হওয়ায় শরীরের বিভিন্ন অংশ পঁচে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।