সারা বাংলা

সূর্যমুখী-সরিষা চাষের মাধ্যমে তিন ফসলি শস্যবিন্যাসে উন্নয়ন

সূর্যমুখী ও সরিষা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রচলিত দ্বি ফসলি শস্যবিন্যাসকে তিন ফসলি শস্যবিন্যাসে উন্নয়ন প্রদর্শনীর মাঠ দিবস আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বালুয়াভিটা গ্রামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শতাধিক কৃষক অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা বিভাগের পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, কৃষিকে লাভবান করতে হলে কোনো জমিকে অনাবাদি রাখা যাবে না। আমন ও বোরো মওসুমের মাঝে দেশের বিস্তৃর্ণ এলাকা অনাবাদি রয়ে যায়। এই অনাবাদি জমিকে রবি মওসুমে চাষের আওতায় আনতে হবে।

মতবিনিময় সভায় কৃষকরা বলেন, আমন ধান চাষ করার পর তিন মাস জমিগুলো পতিত থাকতো। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ওই জমিগুলোতে সূর্যমুখী এবং সরিষা চাষ করা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খায়রুল কায়েস, বীর জাহাঙ্গীর সিরাজি, ড. শীলা প্রামানিক, এবিএম জামিউল ইসলাম প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন সূর্যমুখী চাষী আব্দুল মমিন শেখ ও সরিষা চাষী মো. আবুল বাশার।