যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের ভবানিপুর কবরস্থানে জানাজা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের মরদেহ হস্তান্তর
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, সৈনিক রইশুদ্দীনের গ্রামের বাড়ি ৫৯ বিজিবির সীমান্ত এলাকা হওয়ায় আমরাই তার দাফনকাজের ব্যবস্থা করছি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দাফন করা হয় তাকে।
এর আগে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষ হয় রইশুদ্দীনের। এরপর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে রইশুদ্দীনের মরদেহ আনা হয় শিবগঞ্জে। হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়মে। সেখানে রইশুদ্দীনের মরদেহ বুঝে নেন পরিবারের সদস্যরা। সেসসয় বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় সড়ক পথে রইশুদ্দীনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া গ্রামের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভোররাতে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে বিজিবির সৈনিক রইশুদ্দীনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবি’র সিপাহী রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর ৪৯ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান আহমেদ জামিল ও ভারতীয় বিএসএফের ১০৭ ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
রইশুদ্দীন ২০১৫ সালের জুন মাসে বিজিবিতে সৈনিক পদে যোগ দেন। সর্বশেষ তিনি কর্মরত ছিলেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে।