সারা বাংলা

পানের ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় চাঁদপুরের চাষিরা

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় দীর্ঘ সময় ধরেই বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে পান চাষ। ইতোমধ্যে এখানকার পানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। তবে, এবার চাষিরা পানের ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। বিশেষ করে তীব্র শীতের কারণে অন্য এলাকার ব্যবসায়ীরা তেমন না আসায় বেচাকেনা ভালো না হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা। 

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে হাইমচরের চর কৃষ্ণপুর ও মহজমপুরে রাস্তার পাশে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা চাষিদের পান সুপারি নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ক্রেতা না থাকায় তাদের অনেকটাই অসল সময় কাটাতে হচ্ছিল। অন্যবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতারা দরদাম করে পান ও সুপারি কিনে নিয়ে যেতেন কৃষকদের কাছ থেকে। 

পান চাষি লোকমান বলেন, এখানে সপ্তাহে দুই দিন পান বেচাকেনা হয়। আগে দুপুর পর্যন্ত বেচাকেনা হলেও এখন ভোর ৭টায় শুরু হয়ে ১০ টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় পান বেচাকেনা। শীতের তীব্রতার কারণে অনেক জায়গার ব্যবসায়ীরা পান কিনতে আসছেন না। যার কারণে কম দামে পান বিক্রি করতে হচ্ছে।

অপর পান চাষি ইউনুছ কোতয়াল বলেন, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় মোহন নালী পানের আবাদ ভালো হয়েছে। আগে এসব পান ১৫০-২০০ টাকা বিরা বিক্রি হলেও শীতের কারণে এখন ৫০-৬০ টাকাতে বিক্রি করতে হচ্ছে। শীতের পরিস্থিতি ভালো হলে দামও ভালো পাবো আশা করছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার হাইমচরে মোহন নালী এবং চালতা বোটা পান লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। আর এই পান চাষে সরকারি হিসেবে প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন কৃষক জড়িত রয়েছেন।

হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, পান সুপারির জন্য প্রসিদ্ধ এলাকা হাইমচর। হাইমচরের পানের কদর রয়েছে। আমরা পান চাষিদের পাশে সবসময় পরামর্শ সহায়তা নিয়ে রয়েছি।