সারা বাংলা

রূপগঞ্জে নদীর তীর ও পাউবোর জমি দখল করে বালুর ব্যবসা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সম্পত্তি দখল করে অবৈধ বালুর ব্যবসা করছে প্রভাবশালীরা। নদীর তীর ও রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়ক ঘেঁষা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় স্তূপ করে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ও রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়কে চলাচলরত পথচারীরা। বালুর পানি সড়কে এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ঋষিপাড়া এলাকায় মুড়াপাড়া মৌজার ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং আরএস দাগের পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটি এর প্রায় ৩ বিঘা জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছেন মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জব্বার মিয়া। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি করছেন তিনি। রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়কের পাশে বালু বিক্রি করায় এখানে প্রতিনিয়তই যানজটের সৃষ্টি হয়। বালুর গদির পাশেই প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের গণবসতি এলাকা। বাতাসের গতি একটু বাড়লেই এখানকার বালু উড়ে এসে ঘরের ভেতর পড়ে। এ ধুলাবালির কারণে ছোট-বড় সকলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাতাসে এ বালু উড়ে পড়ে সড়কে চলাচলরত যানবাহন ও পথচারীদের চোখে-মুখে। ভুক্তভোগীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলেও সুফল পায়নি।

এ সড়কে নিয়মিত চলাচলর কভারভ্যান চালক হোসেন আলী বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে আমরা নিয়মিত আসা-যাওয়া করি। এ রকম ব্যস্ততম সড়কের পাশে বালুর স্তূপ। বাতাস বেশি হলেই বালু চোখে এসে পড়ে। অনেক সময় দূর্ঘটনায় আহত হচ্ছে অনেক চালক।’

রমজান মিয়া নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘জব্বার মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে শীতলক্ষ্যা নদী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা, মসজিদের জায়গা দখল করে বালুর ব্যবসা করছেন। বাতাস আসলে তার এ বালু আমাদের উড়ে ঘরের ভেতর আসে। খাবারেও পড়ে। আমরা তার বালুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আমরা এলাকাবাসী এ বিষয়ে মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানিয়েও প্রতিকার পাইনি।’ 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জব্বার মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন রেখে দেন। 

এ বিষয়ে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বলেন, ‘জব্বার মিয়ার বালুর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এ বিষয়ে অনেকে আমার কাছে বিচার নিয়ে আসছে। জব্বার মিয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে ডাকলেও তিনি আসেননি। আমি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে কেউ ব্যবসা করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।