সারা বাংলা

ইজতেমা ময়দানের এক তৃতীয়াংশ মুসল্লিতে পরিপূর্ণ

আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজ‌রের নামা‌জের পর আমবয়া‌নের মধ্য দি‌য়ে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তী‌রে শুরু হ‌তে যা‌চ্ছে ৫৭তম বিশ্ব ইজ‌তেমার প্রথমপর্ব। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলের মধ্যে ইজতেমা ময়দানের এক তৃতীয়াং জায়গা পূরণ হয়ে গেছে। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাস-ট্রেন ও পিকআপে করে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রথম প‌র্বের বিশ্ব ইজ‌তেমায় অংশ নি‌চ্ছেন মাওলানা জুবা‌য়ের সমর্থক মুসুল্লিরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা রোড, আশুলিয়া রোড, টঙ্গী, কামার পড়া রোড হয়ে ট্রাক, পিকআপে করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন তুরাগ তীরে। তার তাদের নির্ধারিত খিত্তায় গিয়ে অবস্থা নিচ্ছেন। সেসব খিত্তায় চট নেই সেখানে নিজ উদ্যোগে মুসল্লিদের টাঙিয়ে নিতে দেখা গেছে চট ও সামিয়ানা। অনেক খিত্তা ইতোমধ্যে মুসল্লি দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। যেসব খিত্তায় উপস্থিতি কম সেসব খিত্তায় অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা জানান, আজ বুধবার রাতের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে মাঠ। কারণ তাদের সাথিরা সবাই রওনা হয়েছেন। 

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আব্দুর রহমান বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে লোকাল ট্রেনে টঙ্গী স্টেশনে নেমেছি। আমরা আগে এসে নিজ নিজ যায়গায় অবস্থান নিয়েছি। অন্য সাথিরা রাতের মধ্যে চলে আসবে। সহিসালামতে ময়দানে আসতে পেরেছি এজন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া।’ 

কুমিল্লা থেকে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৬০ জনের একটি দল নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছি। বাসে করে এসেছি। বাস থেকে আমাদের সকাল ৯টার দিকে ময়দানের নামিয়ে দিয়েছে। আমরা আগে থেকেই ভাগ করে নিয়েছি কাজ। কেউ রান্না করবেন, কেউ বাজার করবেন। ইজতেমা শেষ করে যারা চিল্লায় যাবেন তাদেরকে ভাগ করে দেওয়া হবে এখান থেকে।’

প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ময়দান প্রস্তুত হয়ে গেছে। ইজতেমা পরিচালনারর জন্য সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিরা গতরাত থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। সকালের দিকে মুসল্লি আসার সংখ্যা বেড়েছে। আজ রাতের মধ্যে মাঠ প্রায় পূর্ণ হয়ে যাবে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের একাধিক টিম দায়িত্বে থাকবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন শৃঙ্খলাবা‌হিনীর ১৫ হাজার সদস্য নি‌য়ে ৬ স্ত‌রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ইজ‌তেমায় আগত দেশী ও বি‌দেশি মুসল্লিদের সা‌র্বিক নিরাপত্তা নি‌শ্চিতের পাশাপা‌শি চু‌রি ও ছিনতাই রো‌ধে র‌্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য কাজ কর‌ছেন।