কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কিশোরীনগর গ্রামের প্রায় দেড়শ পুকুরের পাঙাশ মাছ মরে ভেসে উঠেছে। মারা যাওয়া মাছের আনুমানিক বাজার মূল্য কোটি টাকা। তীব্র শীতে ভাইরাসজনিত কারণে মাছ মারা যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাছচাষিরা বলছেন, প্রতিদিনই ছোট-বড় সব ধরনের পাঙাশ মাছ মারা যাচ্ছে। কোনোভাবে মাছ মারা আটকানো যাচ্ছে না। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখানকার পাঙাশ বিক্রি হয়। এমন পরিস্থিতিতে দৌলতপুরেই মাছের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
মোমিনুল ইসলাম নামের এক মাছচাষি বলেন, ছয় বিঘা পুকুরের মাছ ভাইরাসে আক্রান্ত। দুই সপ্তাহে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। আমরা অনুদান চাই না, শুধু চাই মৎস্য কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ।
মাছচাষি সাহাব উদ্দিন বলেন, ছয় বিঘা পুকুরে ১০ লাখ টাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করেছি। কয়েক সপ্তাহে ভাইরাসে ৮ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে।
জহুরুল ইসলাম বলেন, ভাইরাস জনিত কারণে কিশোরীনগর গ্রামের পাঙাশ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ চাষি নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ কিনতে এসে আমরা হতাশ। সব পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। ফলে, মাছের ঘাটতি শুরু হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ বলেন, মাছ মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শীতে মাছের রোগবালাই বেশি হয়। মাছ মারা যাওয়ায় চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির লোকেরা গিয়ে চিকিৎসা দিলেও তাতে কাজ হচ্ছে না বরং চাষিদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী বলেন, শীতকালে মাছের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পানির তাপমাত্রা কমে গেলে মাছ খাদ্যগ্রহণ করতে পারে না। অক্সিজেন কমে গেলে মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে রোগবালাই বেশি হয়।