সারা বাংলা

নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলায় নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, দুজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

মৃতরা হলেন- পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি এলাকার মৃত ভগিরাম বর্মণের ছেলে টাবুল বর্মণ (৪৮) এবং বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের কাউয়া খাল মাঝিয়ারী এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে অটোরিকশাচালক নুরুল ইসলাম (৪৫)।

পৃথক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ললিতা রাণী (৪০) ও আলম (২৫) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে, আলম জেল হাজতে রয়েছেন এবং ললিতা রাণী পুলিশ হেফাজতে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের ডোলোপাড়া এলাকার একটি আম বাগানের ড্রেন থেকে মাটিচাপা অবস্থায় টাবুল বর্মণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

অপরদিকে, নুরুল ইসলামের মরদেহ বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়া নদীর সাঁওতাল পাড়া ঘাট এলাকা থেকে গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি ৭ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ জানায়, মৃত দুজনের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, দুজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের দেওয়া তথ্য ও আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বাড়ি থেকে বের হন টাবুল। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ তার খোঁজে অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আম বাগানের একটি ড্রেন খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, নিখোঁজের জিডি করার পরে আমরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় টাবুলের মরদেহ উদ্ধার করি। সেখানে তাকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বোদা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন নুরুল ইসলাম। রাতে বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরের দিন দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা এলাকায় তার অটোরিকশাটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নুরুলের স্ত্রী শেফালি বেগম প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও পরে অজ্ঞাত ৪-৫ জনের নামে ছিনতাই এবং অপহরণের মামলা করেন।

বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, করতোয়া নদীর সাঁওতাল পাড়া ঘাটে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ও তার পরিচয় শনাক্ত করে। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা এক লাখ ১৬ হাজার টাকা অক্ষত ছিল।

‘ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশা ছিনতাই চক্র নুরলকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে রেখে গেছে। এই মামলায় আলম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’- বলেন তিনি।