জলবায়ু পরিবর্তন, সমসাময়িক বাংলাদেশ ও সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সহজবোধ্যভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থাপন এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের জন্য প্রস্তুত করতে প্রথমবারের মতো গাজীপুরে আয়োজিত হয়েছে জলবায়ু প্রতিযোগিতা। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জয়দেবপুরে রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম পর্বের বাছাই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় গাজীপুরের ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তিতাস, এনভোলিড লিমিটেড এর সিইও মোরশেদুল বারি, ক্লাইমেট এক্টিভিস্ট হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ মোস্তাকিম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, কোষাধ্যক্ষ মো. সজিব হোসেনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। প্রতিযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন গাজীপুরের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বের জন্য ৩২০ জনকে বাছাই করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে উত্তীর্ণদের একটি করে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কেউ অংশ নেয়নি। আমরাই প্রথম গাজীপুর থেকে একই উদ্যোগ নিয়েছি। এটির কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আমাদের দেশ থেকে সেরাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে কাজ শুরু করেছি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি বিশেষজ্ঞ সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক ড. আলম তার বক্তব্যে, বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রকৃতি ও পরিবর্তনের কারণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় করণীয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জীববৈচিত্র, জলবায়ু কূটনীতি, কনফারেন্স অফ পার্টিজ, প্যারিস ক্লাইমেট চুক্তি ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনায় প্রতিযোগিরা ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতে ক্লাইমেট অলিম্পিয়াডটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও নীতি নির্ধারণীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।