সারা বাংলা

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি: বগুড়ায় আটক ৩

বগুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে একই কেন্দ্র থেকে ৪জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে তিনজনের নামে মামলা হলেও একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা চলাকালে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। বগুড়ার সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে আটক ওই চার জন হলেন বগুড়া সদরের ইতি রানী (২৭), শিবগঞ্জের সুমি খাতুন (২৭) ও তমা রানী (৩০) এবং শেরপুরের উম্মে হামিদা (৩০)। আটককৃতদের মধ্যে উম্মে হামিদাকে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  কিন্তু শনিবার বিকেল পর্যন্ত হামিদার ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি প্রশাসন।

জানা গেছে,  উম্মে হামিদা বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমানের স্ত্রী শিল্পী বেগমের আগের সংসারের মেয়ে।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেন, হামিদাকে আটকের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। শুক্রবার দলীয় কাজে ধুনটে ছিলাম। এই বিষয়ে তাকে (স্ত্রী শিল্পী বেগম) জিজ্ঞেস করেন। 

শিল্পী বেগম বলেন, ঘটনা এরকম কিছু না। আমার মেয়ে হয়তো ঘাড় ঘুরিয়েছিল। ওরা না বুঝে তাকে নিয়ে যায়। পরে ছেড়ে দিয়েছে। 

বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিতোষ চন্দ্র সরকার। 

তিনি বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শনের দায়িত্বে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শাজহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার। তিনি আটক করেছিলেন। আমি তখন বিষয়টি জানতাম না। কারণ পরীক্ষার খাতা অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। 

এ বিষয়ে তাহমিদা আক্তার বলেন, আমি আটক করিনি। কক্ষ পরিদর্শকরা কয়েকজনকে আটক করেছেন। এ বিষয়ে কক্ষ পরিদর্শকেরা ব্যবস্থা নিয়েছেন। 

পরীক্ষার্থীরা কী অপরাধে আটক হয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও তাহমিদা আক্তার বলেন, যাদের কাছে ডিভাইস পাওয়া গিয়েছিল তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে চেক করে যাদের ডিভাইস লিঙ্কড পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আটককৃতদের মধ্যে কাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সর্বমোট ২৬ জনকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে যাদের কাছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।