কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দারেরা এলাকার মো. মকবুল হোসেনের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩২), চান্দিনা উপজেলার মাইজখার এলাকার মো. সুন্দর আলীর ছেলে মো. সোহেল (৩০), কোতোয়ালি থানার ভাটপাড়া এলাকার মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. কামরুল হাসান, তিতাস উপজেলার বলরামপুর এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণগ্রাম এলাকার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (২৯)।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এই চোর চক্রের সদস্যরা ৩/৪ বছর ধরে কুমিল্লা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি বক্স সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়। গত ২৪ জানুয়ারি বুড়িচং থানায় কালাকচুয়া এলাকায় একটি ১০ কেভি ট্রান্সমিটার চুরির মামলা করা হলে সেই মামলার সূত্র ধরে একে একে আমরা আসামিদেরকে ধরতে সক্ষম হই। এসময় আসামিদের কাছ থেকে তামার তার ১৬ কেজি, ছোট-বড় স্টিলের পাত ৫০ কেজি, তামার কয়েল ৪টি যার ওজন ৪৪ কেজি, লোহার তার ১৪ কেজি ৫০০ গ্রাম, লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা ৩টি, ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ২টি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ঘটনায় আরও যারা যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে শীঘ্রই।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া।