লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলার ২১টি অবৈধ ইটভাটাকে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত।
প্রিয়াংকা দত্ত বলেন, গত দুই দিনব্যাপী জেলার পাঁচটি উপজেলায় অবৈধ ইটভাটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মোট ২১টি ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আগামীতেও অভিযান পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: ১৩৮টির মধ্যে ৮৪টিরই বৈধতা নেই
রামগতি উপজেলার ৫টি ও কমলনগর উপজেলার একটি ইটভাটাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কমলনগর উপজেলার শামীম ব্রিকসের চিমনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রামগতি উপজেলার মেসার্স আমানত ব্রিকস, মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস ও মেসার্স মন্নান-নূরউদ্দিন ব্রিকস চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মেসার্স ফারদিন আনাম ব্রিকস, মেসার্স ফাতেমা নাজ আফরা ব্রিকসকে জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে, গত সোমবার সদরের মেসার্স রাহাত রাতুন ব্রিকস ও মেসার্স আর এ বি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মুকবুল হোসেন। রায়পুরের এসোসিয়েটস ব্রিকস, মেসার্স গাজী ব্রিকস, মেসার্স মন্তাজ ব্রিকস ও মেসার্স মফিজ ব্রিকসকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিরা খাতুন। রামগঞ্জে মেসার্স জাহাঙ্গীর ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাসেল ইকবাল।
রামগতিতে আনোয়ারা ব্রিকস ম্যানু, শাওন, সোহাগ ব্রিকস ম্যানু, জননী ব্রিকস ম্যানু, আল আমিন ট্রেড করপোরেশন ও এ.এস.বি ব্রিকসকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেন এবং অমিত কুমার বিশ্বাস।
কমলনগরের মেঘনা ব্রিকস, সুমাইয়া ব্রিকস, হাজী হক ব্রিকস ও আল্লারদান ব্রিকসকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মো. রেজা এবং মো. সাদ্দাম হোসেন। এসময় বাংলা চিমনি ব্যবহার করে ইট তৈরী করার দায়ে এ.এস.বি ব্রিকসকে ভেঙে দেওয়া হয়।