এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও ‘খারাপ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করেছিলাম, একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২০১৮ সালের নির্বাচন গুণমান সম্পন্ন ছিল না। ২০২৪ সালের নির্বাচন তার চেয়েও খারাপ হয়েছে। সেবার তা-ও কিছু মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে। এইবার সেই পরিমাণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই, ভোট দেয় নাই, ভোট দিতে পারে নাই।’
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী।
ভোটে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এবার কোনো কোনো কেন্দ্রে জোর করে ভোট নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ উৎসাহ পায়নি। আমার জীবনে রাজনৈতিক চরম ব্যর্থতা, আমরা যতটা চেষ্টা করেছিলাম, আমাদের নিজেদের সমর্থকও সেই পরিমাণ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই। নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন বলে, ভোট হয়েছে ২৬ শতাংশ। কেউ বলে দেওয়ার পর ভোট হয়েছে ৪০ শতাংশ।’
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কাদের সিদ্দিকী প্রায় ২৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহানের (৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে জয়ী) কাছে হেরে যান। গত রোববার টাঙ্গাইলের সখীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক কর্মীসভায় তিনি দাবি করেন সরকার ভিন্ন কৌশলে ভোট নিয়ে তাকে হারিয়ে দিয়েছে।
নির্বাচনের পরের দিন থেকেই সরকার স্বস্তিতে নেই দাবি করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ থাকলে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট হতো। তাতে সরকার অনেক স্বস্তি পেত। সরকারকে স্বস্তিতে থাকতে হলে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। মানুষের মালিকানা মানুষকে দিতে হবে। চোরের বিচার চোরের কাছে দিলে সেটা কতটা যুক্তিসংগত হয়। আমার কারণে রাষ্ট্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হোক, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হোক, এটা আমি চাই না। এটা চাইনি বলে নির্বাচন আমি প্রত্যাখ্যান করি নাই।’
মতবিনিময় সভায় জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেকসহ দলের জেলা শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।