বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। পিঠা উৎসবে স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছে নানা রকম পিঠার সমাহার। পিঠা উৎসবে অনেকে হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডা মেতে উঠে। পিঠা ছাড়াও হস্তশিল্পসহ নানা সামগ্রী মেলায় বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শহরের টাঙ্গাইল ক্লাব প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে পিঠা উৎসব শুরু হয়। উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার।
মেলায় শুধু পিঠা নয়, নারীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী স্থান পেয়েছে। পিঠা উৎসবে জামাই পিঠা, বুটের হালুয়া, মুখশালা পিঠা, লাচ্ছি বড়া, পাটিসাপটা পিঠা, নকশি পিঠা, ডিমের পাকড়া, ডিম পিঠা, মাংস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা স্থান পায়।
লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
নারী উদ্যোক্তা আশা আক্তার বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে বসেছি। সব পিঠা আমরা বাসায় নিজের হাতে তৈরি করেছি। ঝাল এবং মিষ্টি সব ধরনের পিঠা রয়েছে। আয়োজকদের কাছে দাবি, প্রতি বছর যাতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়।’
ক্রেতা সুমাইয়া আক্তার বলেন, শীতের সময় পিঠা খেতে ভালো লাগে। প্রতি বছরই এমন আয়োজন হলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুটে উঠবে। সব সময়ই যদি এমন আয়োজন করা হয়, তাহলে হারানো সেই পিঠাপুলির উৎসব ফিরে আসবে।
টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক জেরিন মাহমুদ শম বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া বাঙালির পিঠাপুলির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠাই এখানে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করা হবে।’
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হবে। এতে জেলার অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হবে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ পিঠা উৎসব শেষ হবে।