সারা বাংলা

মাগুরায় অধ্যক্ষ ও তার ভাইয়ের বাড়িতে ডাকাতি

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও তার এক ভাইয়ের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের তল্লাবাড়ীয়া এলাকায় এমন ঘটেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ডাকাত দলটি বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিনোদপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান ও তার ভাই জাহিদুজ্জামান যৌথ পরিবার হিসেবে ওই বাড়ির দুটি ঘরে থাকেন।

ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে খাবার খেয়ে দুই ভাই ও তার পরিবারের প্রায় সব সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরমধ্যে অধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসা নেন। ওইদিন সকালে বাড়ির পেছনে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসা করলে জানায়, অধ্যক্ষের সাথে দেখা করতে এসেছেন। ওই ব্যক্তি ডাকাতির আগে খাবারে বিষাক্ত কিছু মিশিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ওই বাড়ির দক্ষিণ পাশের জানালার গ্রিল কেটে ১৫ থেকে ২০ জন মুখোশধারী ডাকাত ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্র ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে।

জাহিদুজ্জামান ও অধ্যক্ষ খায়রুজ্জামানের মেয়ে প্রিয়তি (২০) জানান, প্রথমে ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ডাকাত দলটি বাড়ির ভেতরে ঢোকে। অসুস্থ জাহিদুজ্জামানকে পুলিশ পরিচয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। পাশের রুমে থাকা খায়রুজ্জামানের পরিবারের লোকজনকে ডেকে দরজা খোলান। একপর্যায়ে তারা সবার মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর ৭ জন ও ১০ জন ডাকাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আমাদের পরিবারের সবার গলায় দা ধরে সোনা আর টাকা বের করে দিতে আমাদের বাধ্য করে। এসময় ডাকাতরা পুরো ঘরের মালপত্র তছনছ করে।

ডাকাত দলটি তাদের দুই পরিবারের ১৭ ভরি সোনা, আলমারিতে রাখা ১৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায় বলে জাহিদুজ্জামান ও প্রিয়তি দাবি করেন।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ তদন্ত করছে। বেশ কিছু আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তারা অভিযোগ দেওয়ার পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।