সারা বাংলা

কুয়াকাটা সৈকত কানায় কানায় পূর্ণ পর্যটক সমাগমে

লেম্বুর বন থেকে চর গঙ্গামতি সৈকত। সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে পুরো ১৮ কিলোমিটার সৈকতেই পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আর সৈকতের জিরো পয়েন্ট পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ।

শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে আসা অনেক পর্যটকই রুম না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়দের বাসা-বাড়িতে। আগতদের নিরাপত্তায় মাঠে মোতায়েন রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা।

আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। কেউ ঘুরছেন বাইকে, কেউ আবার ঘোড়ায়। অনেকে আবার উপভোগ করছেন সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আগত পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল-মোটেল। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

ঢাকার মিরপুরের রাইনখোলা থেকে আসা পর্যটক দম্পত্তি সুমন-সায়মা বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। একসঙ্গে এত মানুষ এর আগে দেখিনি। 

যশোর থেকে আসা পর্যটক সাহেব আলভী বলেন, এর আগে আমরা দুইবার এসেছি। কুয়াকাটায় একসঙ্গে এত বেশি পর্যটক দেখে বেশ ভালোই লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্টগুলোর খাবারের মান আরও ভালো করা দরকার।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা’র (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এতো বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আগের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, পর্যটকদের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে টহল দল কাজ করছে। কুয়াকাটার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে আমাদের দল রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।