পুস্পস্তবক বিনিময়ের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় জড়ো হয়েছিলেন দুই বাংলার আয়োজকরা। একে অপরকে ফুলের স্তবক দিয়ে জানান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সীমান্তের চেকপোস্টে বাংলা ভাষার এমনই মিলন মেলা বসে।
এ সময় দায়িত্বরত বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের পক্ষে বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিটি বাংলাদেশের হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত কর্তৃপক্ষের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এবং সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত ভারতের এসব সংগঠনের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করেন। এরপর তারা নিজ নিজ দেশের শহিদ বেদীতে ফুলের স্তবকগুলো অর্পন করেন।
এ বিষয়ে আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই বাংলার মধ্যে সৌহাদ্য, সম্প্রীতিসহ ভাষাপ্রেমিদের মেলবন্ধন অটুট রাখতে ২০১৫ সাল থেকে হিলি সীমান্তে দুই বাংলার উদ্যোগে এ আয়োজন করে আসছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে রাষ্ট্রীয়ভাবে সীমান্তের শূন্যরেখায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ মিলনমেলা ঘিরে দুই বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষেরা সীমান্তে আসেন। এ সময় তারা বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করে মন খুলে কথাবার্তা বলেন। প্রতি বছর আমরা সীমান্তে কাটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরির জন্যই এ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দুই বাংলার মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন, ভারতের বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাশ, উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ, বাংলাদেশের পক্ষে স্থানীয় পৌর মেয়র জামিল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।