মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাত অস্থিরতার রেশ বাংলাদেশ সীমান্তে কমে এসেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিন রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের লোকজন শান্তিতে ঘুমিয়েছেন। কিন্তু সীমান্ত শান্ত থাকলেও মিয়ানমার থেকে একটি নৌকা যোগে ৯ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাটের নাফনদীর মোহনা দিয়ে এ চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সতর্কতায় এই ৯ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে পারেনি। ফলে মিয়ানমারই ফেরত গেছে এ সকল রোহিঙ্গা।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে একটি নৌকায় করে নয় জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে চেষ্টা চালায়। তবে তারা বিজিবির বাধায় ঢুকতে পারেনি। পরে মিয়ানমারের ফেরত গেছে।
বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গত সোমবার দিনভর থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে এলেও সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এমন শব্দ আর শোনা যায়নি। এতে টানা তিন দিন সীমান্তের লোকজন স্বস্তিতে রয়েছেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে নৌকায় ৯ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিজিবি সতর্ক থাকায় এরা অনুপ্রবেশ করতে দেয়নি। নাফনদীর শূন্যরেখা পর্যন্ত এসে এসব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে একজনকেও অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।