বরগুনার তালতলীর শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খালাকে হত্যা মামলায় আব্দুল মালেক (৩৮) নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। চাঞ্চল্যকর সাফিয়া হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন ওই গ্রাম পুলিশ সদস্য।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার তথ্য মতে, গত বছরের ৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে শারিকখালী ইউনিয়নের ধোপার ভিটা এলাকার সাফিয়া বেগম (৪৯) বিকাশে টাকা তোলার জন্য ঘর থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পাননি স্বজনরা। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর ৬ এপ্রিল শারিকখালীর ধোপার ভিটার পূর্ব পাশে কালিরখালের কেওড়াগাছের নিচ থেকে সাফিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে তালতলী থানা পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রাম পুলিশ আব্দুল মালেক জমিজমা বিরোধ দাবি করে প্রতিবেশী সোনা মিয়া, তার ছেলে জাফর ও দুই ভাই সিদ্দিক ও ফারুককে আসামি করে তালতলী থানায় হত্যা মামলা করেন। কোনো ক্লু না পেয়ে ওই বছরের জুন মাসে তালতলী থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেলা গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তের জন্য মামলাটি হস্তান্তর করে।
প্রায় আট মাস তদন্ত শেষে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে গতকাল শুক্রবার রাতে একই এলাকার বাসিন্দা এবং ওই গ্রাম পুলিশ সদস্য মালেকের ঘনিষ্ঠজন করিম খানকে (৬০) বাগেরহাটের মোংলা থেকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোশাররফ হোসেন। করিম খান জিজ্ঞাসাবাদে জানান, গ্রাম পুলিশ আব্দুল মালেকের সঙ্গে তার খালা সাফিয়া বেগমের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তার কথায় ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে সাফিয়া বেগমকে হত্যা করতে রাজি হন তিনি। পরে পরিকল্পনা করে তারা দুজনে মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সাফিয়া বেগমকে।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. বশির আলম বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডে করিম খান ও গ্রাম পুলিশ সদস্য আ. মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।