কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাককু বলেছেন, ‘এটা আমার শেষ নির্বাচন। আমি আর জীবনে নির্বাচন করবো না। তবে, আমি রাজনীতির মাঠে থাকবো। প্রতিহিংসার রাজনীতি সাককু করে না। ঘোড়া মার্কার একটা ছেলে ভোটে দাঁড়িয়েছে, আমাকে ফেল করাতে। তার চিন্তা ভাবনা শুধু আমাকে ফেল করাবে। অথচ, তারে আমি রাজনীতিতে আনছি। আমি ৪৬ বছর ধরে রাজনীতি করি, আমাকে ফেল করানো এতো সহজ?’
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ স্কুল মাঠে উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সাককু কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সাককু বলেন, রাজনীতি করতে হলে মানুষর মনের ভেতরে যেতে হয়। ক্যাডার আর টাকা দিয়ে নির্বাচন জেতা যায় না। আমি ১২ বছরে ১০০ টাকা টেক্স নিয়েছি, অথচ দেড় বছরে তারা সিটি কপোরেশনে টেক্স করছে ১০০০ টাকা। এগুলো অন্যায়। তাদের জনগণের টাকার প্রতি এতো লোভ কেনো,তাদের আল্লাহ পছন্দ করে না। আমি সাককু সবাইকে নিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে সিটি কপোরেশন চালাবো, যদি আপনারা আমাকে ভোট দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেড় বছরে একজন কি করছে না করছে আমি জানি না, তবে আমি মানুষের জন্য কাজ করমু, আমি বড় প্রকল্প নিয়ে আসছি। এগুলো এখনো হয়নি, আমি সিটে বসলে নগরবাসীর বাকি কাজগুলো তিন বছরে মাঝে করমু। আমার সময় কেউ বলতে পারবে না সিটি কপোরেশন থেকে ফিরে আসছেন। এখন সিটি কপোরেশনে কেউ ডুকতে পারবে না, আপনারা যাকে ভোট দেন আমার তাতে সমস্য নেই। আপনারা দয়া করে ৯ মার্চ ভোট কেন্দ্র যাবেন, বিগত নির্বাচনের মতো আর হবে না, আমি সাককু বেঁচে থাকলে এটা আর হতে দিমু না।’ এর আগেই সকালে সাককু নগরীর শাসনগাছা ডাকবাংলা এলাকায় গণসংযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসা চলাকালে তার মৃত্যু হয়। এরপর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ময়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে। আগামী ৯ মার্চ ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।