মায়ের স্বপ্নপুরণে মাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে এসেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলে মিজানুর রহমান তোতা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার শ্যামপুর দারুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে তাদেরকে বহনকারী হেলিপ্টারটি অবতরণ করে। এমন দৃশ্য দেখে দারুণ খুশি তাদের স্বজন ও এলাকাবাসীরা। হাজারো উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাদের দেখার জন্য।
মিজানুর রহমান তোতার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। তিনি উপজেলার রায়দৌতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী ও শান্তি বেগম দম্পতির ছেলে।
জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান তোতা বুধবার দুপুরে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছান। পরে ঢাকা থেকে তার মা শান্তি বেগম, শ্বশুর নজরুল ইসলাম, প্রবাসীর ছেলে মুরসালিন, মেয়ে মিম আক্তার ও ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন। হেলিকপ্টারটি গ্রামে পৌছালে তাদের ফুলের মালা গলায় পরিয়ে বরণ করেন আত্মীয়সহ এলাকাবাসী।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, জীবিকার তাগিদে প্রায় ১৭ বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন মিজানুর রহমান। তার অর্থে সচ্ছল পুরো পরিবার। মিজানুর এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থাকেন। তার সহযোগিতায় উপকৃত হয়েছে আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার মানুষ।
মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান তোতা বলেন, মায়ের স্বপ্ন ছিলো বিদেশ থেকে আসার পরে মাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরবো। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার মতো প্রত্যেক সন্তানের উচিত মায়ের স্বপ্ন পূরণ করা। আমার হেলিকপ্টারে বাড়ি ফেরায় এলাকাবাসীও খুশি হয়েছে।
প্রবাসীর ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় হেলিকপ্টারটি ভাড়া করা হয়েছে। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে মাত্র ২০ মিনিট সময় লেগেছে। মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য আমার বড় ভাই হেলিকপ্টার নিয়ে বাড়িতে এসেছেন। মা ও ভাইয়ের কারণে আমিও হেলিকপ্টারে উঠতে পেরে অনেক খুশি হয়েছি।
মা শান্তি বেগম বলেন, কিছু সময়ের মধ্যে আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। গ্রামের মানুষ কখনো এতো কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখেনি। হেলিকপ্টারটি মাঠিতে নামার পরে হৈ চৈ পড়ে যায় পুরো এলাকায়। প্রচণ্ড বাতাসে চারদিকে যেন ভূমিকম্প। সার্বিক নিরাপত্তা দিয়েছেন কামারখন্দ থানা পুলিশ। তাদেরকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।