‘৩০ বছর ধরে কবর খোঁড়ার কাজ করছি। একসঙ্গে এত কবর খুঁড়তে হবে কোনোদিন কল্পনাও করিনি। গ্রামে এত কবর খোঁড়ার লোকও নেই। আশপাশের এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কবরগুলো খুঁড়তে হয়েছে।’
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর খন্দকারপাড়া কবরস্থানে পাশাপাশি পাঁচটি কবর খোঁড়ার পর বিষণ্ন কণ্ঠে বলেন মনির হোসেন।
এ সময় তাকে সহযোগিতা করেছেন শাহবাজপুর গ্রামের রিংকু মিয়া, শিপন মিয়া ও বৃদ্ধ গেন্দু মিয়া। তারা অশ্রুসজল চোখে বলেন, জীবনে অনেক কবর খুঁড়েছি। অনেক ধরনের অভিজ্ঞতাও আছে। কিন্তু একসঙ্গে একই পরিবারের জন্য পাঁচটি কবর এবারই প্রথম খুঁড়লাম। বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কবরগুলো খুঁড়েছি।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে শাহবাজপুর গ্রামের প্রয়াত আবুল কাশেমের ইতালি প্রবাসী ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার, ছেলের বউ স্বপ্না আক্তার, দুই নাতনী সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র নাতি সৈয়দ আব্দুল্লাহ মারা যান। একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ ঘটনায় ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।