সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পোতাজিয়ায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শান্তনা রানি দাস ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শান্তনা রানিসহ তার মা ও দুই বোন গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে পোতাজিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তারা বাড়ি ফিরেছেন।
শান্তনা রানি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা আতঙ্কে আছি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এ আশঙ্কায় আছি। তারা আমাদের শাসিয়েছে।’
শান্তনা রানি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা অনেক আগে থেকেই জোর-জুলুম-অত্যাচার করে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। এতে সহজেই আমাদের বসতভিটা দখল করতে পারবে। তাছাড়া বিভিন্ন সময় ওরা আমাকে শাসিয়ে বলেছে- কলেজ, ভার্সিটিতে পড়তে যাস। আমরা একটা চোখের ইশারা দিলেই তোকে শেয়াল কুকুরের মতো ছিঁড়ে খাবে।’
তারা কে? জানতে চাইলে শান্তনা রানির বাবা দীনেশচন্দ্র দাশ এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আলমগীর জাহান বাচ্চু রাইজিংবিডিকে বলেন, এ ঘটনার পর দীনেশচন্দ্র দাস থানায় মামলা করেছেন। আগামী সোমবার (৪ মার্চ) বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসির (শাহজাদপুর) তত্ত্বাবধানে মিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ দিকে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় গোলাম হায়দারকে মূল আসামি করে ভোলা, মানিক, রতন এবং রাফির নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু তারা সবাই জামিনে আছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে শান্তনা রানির সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঝগড়া শুরু করে প্রতিবেশী গোলাম হায়দার, ভোলা, মানিক, রতন এবং ভোলার ছেলে রাফি। এ সময় তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এর কারণ জানতে চাইলে সঙ্গবদ্ধ হয়ে ১০-১২ জন শান্তনা রানির ওপর হামলা চালায়। তার পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এ ঘটনার মূল হোতা গোলাম হায়দার। তার নেতৃত্বেই সেদিন শান্তনা রানির পরিবারের ওপর হামলা হয়েছে।