সারা বাংলা

গোপালগঞ্জে সেবাশ্রমে পূজারী নারীকে মুখ-হাত বেঁধে হত্যা 

গোপালগঞ্জে মালিবাতা সেবাশ্রমের পূজারী হাসিলতা বিশ্বাসকে (৭০) মুখ ও হাত বেঁধে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

রোববার (৩ মার্চ) সকালে ওই আশ্রম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালিবাতা সেবাশ্রমে এ ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত পূজারী হাসিলতা বিশ্বাস সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নের দোয়ানীবাড়ী গ্রামের মৃত দিপীন বিশ্বাসের স্ত্রী। 

ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, মালিবাতা সেবাশ্রমে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পূজা অর্চনা ও দেখাশুনা করে আসছিলেন হাসিলতা। শনিবার রাতে ওই আশ্রমে তিনি একাই ঘুমিয়ে ছিলেন।

রোববার (৩ মার্চ) ভোরে কয়েকজন এলাকাবাসী আশ্রমে গেলে আশ্রমের মন্দিরের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে ভিতরে গিয়ে আশ্রমের পূজারী হাসিলতার মুখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হতে পারে। এছাড়া ওই বৃদ্ধার ঘরের আলমারী ও আশ্রমের দান বাক্স ভাঙা ছিলো। বিষয়টি শুধু পুলিশ নয় বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মালিবাতা সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক গৌতম পান্ডে বলেন, আমরা ধারণা করছি বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত হয়তো মন্দিরে ঢুকেছিলো। গামছা দিয়ে তার মুখ ও হাত বেঁধেছিল। তাকে হয়তো শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ আশ্রমে বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবারও হয়তো চুরির উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা ভিতরে প্রবেশ করেছিলো। 

গোপালগঞ্জে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দুলাল বিশ্বাস বলেন, ঘটনার শোনার পরপরই আমি এখানে এসেছি। এখানে মন্দিরে চুরির পর পুজারীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আশা করবো পুলিশ তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবে।