দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের সময় কারাবরণকারী নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা দিয়েছে পাবনা জেলা বিএনপি। রোববার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে ফুলের মালা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা। পাবনা শহরের লাহিড়ীপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রেও আমাদের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। যার কারণে হাজার চেষ্টা করেও দলকে ভাঙতে পারেনি কেউ। যে উদ্দেশ্যে আমরা স্বাধিনতা যুদ্ধ করেছিলাম সেই উদ্দেশ্যে আজ ধূলিসাৎ হতে চলেছে। মানুষের অধিকার আজ লুণ্ঠিত। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সংগ্রাম চলবে।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে চালিয়ে চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও পাবনা জেলা বিএনপির সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ভোট বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। জনগণ ভোট বর্জন করেছেন। আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলার আগে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। এজন্য সবার আগে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে যেতে হবে।
পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন ও কৃষকদলের আহ্বায়ক কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য জহুরুল ইসলাম বাবু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, আবু ওবায়দা শেখ তুহিন, নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সন্টু সরদার, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলাল প্রমুখ।