সারা বাংলা

চাঁদপুরে মাছঘাটে বরফ সংকট, বিপাকে শ্রমিকরা

চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে বরফ সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রায় চার শতাধিক শ্রমিক। একই সঙ্গে এখানে দেশিয় মাছ বিক্রি পড়েছে হুমকির মুখে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে মাছঘাটে গেলে বরফ না থাকায় শ্রমিকদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।

শ্রমিকরা জানান, পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশের অভয়াশ্রমের কারণে প্রশাসন বরফ কলগুলো সব বন্ধ রেখেছে। আমরাও প্রশাসনের সাথে সব বরফ কল বন্ধের সিদ্ধান্তে একমত। কিন্তু ঘাটে আসা দেশিয় মাছগুলো বরফ সংকটে পচে নষ্ট হচ্ছে। পাইকাররা নিয়মিত বরফ না থাকায় ঘাটে আসতে চাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ওয়ারলেস, চৌরাস্তা, ভাটিয়ালপুরসহ আরও বেশ কয়েক স্থানে গোপনে বরফ আসছে। অথচ মাছের সবচেয়ে বড় মাছঘাট বড় স্টেশনেই বরফ নেই। আর এতে বোঝা যায় এখানকার ব্যবসায়ীরা প্রশাসনিক সকল সিদ্ধান্তে পাশে রয়েছে।

ঘাটের শ্রমিক মো. হোসেন বলেন, আমরা শুধু জিওল মাছ বিক্রি করছি। শরিয়তপুর থেকে আসা রুই, কাতল, মৃগেলসহ দেশি মাছগুলো এবং খুলনা থেকে আসা চিংড়ি মাছগুলো ঘাটে নিয়ে বসে আছি। কিন্তু বরফ না থাকায় পাইকারেরা মাছ নিতে আগ্রহী নয়। আর এতে করে দিনে লাখ লাখ টাকার মাছ ক্ষতির সম্মুখে রয়েছে। বড় স্টেশনের প্রায় অর্ধশত আড়তদারও এখন বড়ধরনের ক্ষতির হুমকিতে রয়েছে। তাই ঘাটে অন্তত একটি বরফ কল চালুর অনুমতি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবে বরাত সরকার বলেন, ইলিশ মাছ বিক্রি ও সংরক্ষণে ঘাটের কেউ যদি জড়িত থাকে। তাহলে আমরা সবাই মিলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু জিওল মাছের বাজার ধরে রাখতে অন্তত একটি বরফ কল চালু রাখার অনুমতি না দেওয়া আমাদের জন্যও বড় ধরনের ক্ষতি। বরফ না থাকায় পাইকাররাও এখানে জিওল মাছ কিনতে আসছে না। যার কারণে এখানে প্রায় চার শতাধিক শ্রমিক এখন অভাব-অনটনে অলস সময় কাটাচ্ছে। তাই অন্তত একটি বরফ কল চালুর অনুমতি দিতে প্রশাসনের প্রতি আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।