কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর একজন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ৬ষ্ঠ শেণিতে ১৬ জন একসঙ্গে ভর্তি হলেও ক্লাস নাইনে ওঠার আগেই ১৫ জনের বিয়ে হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির জন্য বাল্যবিবাহকেই দায়ী করছেন শিক্ষকেরা। বাল্যবিবাহ রোধে সীমান্তবর্তী বিদ্যালয়গুলোতে মনিটরিং বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ।
রুবিনা আক্তার বলেন, আমি লেখাপড়া শেষ করে বিয়ে করতে চাই।
রুবিনার বাবা রইজ উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ের জন্য বিয়ের আলাপ এসেছিল কিন্তু আমি বিয়ে দেই নাই। আরও যে পড়াবো সে ইচ্ছাও তেমন নাই। তারপরও দেখা যাক কি করা যায়।
আর কোনো ছাত্রী যাতে বাল্যবিবাহের শিকার না হয়, সেজন্য অভিভাবকদের সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান মিঞা জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় অভিভাবকেরা মাধ্যমিকে পড়ার সময়েই মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন। আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছি, সমাবেশ করেছি যাতে করে তারা বাল্যবিবাহ রোধে সচেতন হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বাল্যবিবাহরোধে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। যাতে করে বাবা-মা মেয়েদের বাল্য বিয়ে দিতে না পারে সেজন্য কাজ করা হবে।
১৯৯৮ সালে স্থাপিত অনন্তপুর বালিকা বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।