সারা বাংলা

ধামরাইয়ে ঠিকাদারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা

ঢাকার ধামরাইয়ে মো. হাসেম আলী (৩৯) নামে এক ঠিকাদারকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) ভুক্তভোগীর ভাই মো. জাহের আলী বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বড় চন্দ্রাইল এলাকায় কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

মামলার আসামিরা হলেন- কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান (৫৫), তার দুই ছেলে মো. মমিন (২৭) ও মো. রিপন আলী (৩০), একই ইউনিয়নের খাতরা গ্রামের বাসিন্দা মো. বোরহান আলী (৪৫), মো. আ. হকসহ (৫৪) অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন। ভুক্তভোগী মো. হাসেম আলী খাতরা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফরের সঙ্গে হাসেমদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিবাদেও জড়িয়েছেন তারা।

সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন স্থানীয় আবদুল বারেকের পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন হাসেম আলী। মঙ্গলবার রাতে বারেকের ছেলে হারিজুল ইসলাম কাজের জন্য হাসেমকে এক লাখ টাকা বিল দেন। সেই বিল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে আনোয়ার হোসেন নামের একজনের বাড়িতে চুরির চেষ্টার অপবাদে চেয়ারম্যানের লোকজন হাসেমকে আটক করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হাসেমকে আটক করে বাড়িতে নিয়ে চেয়ারম্যান পা দিয়ে উঠানের পাকা জায়গায় ফেলে মুখ চাইপা ধরে। সেসময় চেয়ারম্যানের ছেলেরা হাসেমকে রশি দিয়া পিছমোড়া করে বাঁধে। এরপর আরও কয়জন মিলে মারতে থাকে। পুলিশ আসলে হাসেমের ভাইয়েরা তাকে হাসপাতালে নিয়া যায়।

হাসেমের বড় ভাই ও মামলার বাদী মো. জাহের আলী বলেন, আমরা মামলা করেছি। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসীম বিশ্বাস বলেন, ঠিকাদারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন

‘গরুর মতো বেঁধে পিটিয়েছে, বাবা ডেকেও রক্ষা পায়নি’