সারা বাংলা

খুলনার আলোচিত ধর্ষণ মামলা: কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি 

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনায় খুলনার আলোচিত ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে গত ৭ মার্চ আদালতে মামলা হয়। খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা অভিযোগ এজাহার হিসেবে নিতে ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপর চার দিন অতিবাহিত হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। 

রোববার (১০ মার্চ) ইউনিয়ন পরিষদে দাপ্তরিক কাজ করেছেন মামলার অন্যতম আসামি রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান। অন্য আসামিরাও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন। তবে প্রধান আসামি ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ রোববার (১০ মার্চ) কার্যালয়ে যাননি।

ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশে ৭ মার্চ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী তরুণী ও তাঁর মাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৮ মার্চ খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে ওই তরুণীকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। তবে তাঁর জবানবন্দির রেকর্ড অর্ডারশিট থানায় আসেনি। তাই জবানবন্দিতে ওই তরুণী কী উল্লেখ করেছেন, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কী আদেশ দিয়েছেন, সেসব ব্যাপারে এখন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। অর্ডারশিট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, তাঁর চাচাত ভাই রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, তাঁর ভাই গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম সুমন, সাদ্দাম গাজী ও ইমরান হোসাইন।

আরও পড়ুন: আদালতে জবানবন্দি দিলেন সেই তরুণী, গ্রেপ্তার হয়নি চেয়ারম্যান 

মামলার বাদী ওই তরুণীর ভাই গোলাম রসুল অভিযোগ করে বলেন, ‘রোববারও রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে সারা দিন ছিলেন। অন্য আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে। তবুও পুলিশ কাউকে ধরছে না। আসামিদের লোকজন আমাকে ফোনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি, তারা পদক্ষেপ নেয়নি।’ 

সরেজমিন মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান গাজী এজাজকে রোববার তাঁর অফিসে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রত্যেক আসামির ফোনও বন্ধ রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী বলেন, ‘বাদী নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ করেননি। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’