পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে রসালো ফল তরমুজও। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই ফলটি। ইফতারি পণ্য হিসেবে ব্যাপক কদর থাকলেও আকারভেদে প্রতিপিস তরমুজ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের ৩০০-৭০০ টাকায়। সোমবার (১৮ মার্চ) কুমিল্লা নগরীর রাণীর বাজার, রাজগঞ্জ বাজার ও মগবাজার চৌমূহনী এলাকায় ঘুরে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে বাজারে তরমুজ আসতে শুরু করে। এখন বাজারে প্রচুর তরমুজ আসছে। শীত শেষ হয়ে গরম পড়তে শুরু করায় ইফতারে তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বেশি দাম দিয়ে আড়ত থেকে তরমুজ কিনতে হয় সে কারণে দামও বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এখনো তরমুজের মৌসুম পুরোপুরি শুরু হয়নি। যে কারণে কিছুটা অপরিপক্ক তরমুজ আসছে। ছোট তরমুজ প্রতি ১০০ পিস ৩০-৪০ হাজার, মাঝারি ৫০-৫৫ হাজার এবং বড় সাইজের তরমুজ ৬০-৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুমিল্লা নগরীর অশোকতলা থেকে পরিবারের জন্য তরমুজ কিনতে আসা হৃদয় হাসান বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে তরমুজ দিয়ে ইফতার করবো বলে এসেছি বাজারে। কিন্তু, তরমুজের দাম শুনে হতবাক হয়েছি। তরমুজ খাওয়া বাদ দিয়ে দেবো। ছোট আকারের তরমুজ ৩০০-৪০০ টাকা পিস। আবার একটু বড় আকারের নিলে ৭০০ টাকা। তাই তরমুজ না কিনেই চলে যাচ্ছি।’
কথা হয় অপর ক্রেতা ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার রমজানে কলেজ খোলা, তাই বাড়িতে যাইনি। মেসের সদস্যদের সবার সঙ্গে মিলে ইফতার করি। আজকে ভেবেছি, তরমুজ দিয়ে ইফতার করবো। বাজেটের চাইতে ৩ গুণ বেশি টাকা দিয়ে এই ছোট তরমুজটি কিনেছি। এটাই হয়তো এই রোজার শেষ তরমুজ খাওয়া। এতো দাম দিয়ে তরমুজ খেলে মিল রেটে (খাবারের মূল্য) দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারবো না।
নগরীর রাণীর বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী রফিক মিয়ার সঙ্গে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশি দাম দিয়ে আড়ত থেকে তরমুজ কিনে আনতে হয়। এরপরও বিভিন্ন খরচ আছে। বাড়িয়ে না বিক্রি করলে আমাদের পোষাবে কি করে বলেন।
কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে আমাদের অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছি। বিষয়টি নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।