চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে ৩৯ জন দালালকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার (২০ মার্চ) সকালে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে এই দালালদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৪ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং বাকি ২৪ জনকে ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন অভিযানে নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের টিম হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চালায়। সেসময় ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতালে মূলত বেড এবং ওয়ার্ড সিন্ডিকেট, মেডিসিন সিন্ডিকেট, অ্যাম্বুল্যান্স সিন্ডিকেট সক্রিয় আছে। তারা রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করে। মূলত কমিশন বাণিজ্যের কারণে রোগীদের প্রলুব্ধ করে তারা।
তিনি বলেন, দালাল সিন্ডিকেট সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে রোগীদের বিনামূল্যে সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত ওষুধ নেওয়া থেকে পথভ্রষ্ঠ করে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের ওষুধ ক্রয় করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কমিশনপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফার্মেসি কর্তৃক ওষুধের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে ওষুধ বিক্রয় করে থাকে। দালালের বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে কেউ হাসপাতালের কর্মচারী হলে তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আটক দালালরা স্বীকার করেছে, সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখে দেওয়ার পর তারা রোগীদের স্বল্প খরচে উক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। একজন রোগী নিতে পারলে দালালরা ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন পায়।