বান্দরবানের লামায় লেমুপালং মৌজার ১৩টি পাড়ার আশপাশের পাহাড়ের বিপন্ন প্রজাতির ওষুধি গাছসহ সব ধরনের গাছ কেটে বন উজাড় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম-এ ‘হাতি দিয়ে বনের গাছ পাচারের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (২৩ মার্চ) ওইসব এলাকায় লামা বন বিভাগ অভিযান পরিচালনা করেছে। সেসময় তারা গাছ টানার কাজে ব্যবহৃত হাতিসহ একজন মাহুতকে আটক করে।
আটক হাতিটিকে লামা বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ের নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম।
রেজাউল ইসলাম বলেন, জব্দ করা গাছগুলোর ঘনফুট পরিমাপের কাজ চলছে। অবৈধভাবে হাতি দিয়ে গাছ টানা কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় চিংরাও ম্রো, চাহ্লা ম্রো ও মাংচোম ম্রো বলেন, গত তিন-চার মাস ধরে মৌজাটির পালং খাল ও এ খালে মিলিত হওয়া শিল ঝিরি ও ছোট শিল ঝিরির বিস্তীর্ণ এলাকার প্রাকৃতিক বনের বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির গাছ কেটে হাতি দিয়ে পাচার করে করা হচ্ছিল। বনের কাটা গাছগুলো ভাড়া করা হাতি দিয়ে টেনে খাল ও ঝিরিগুলোতে মজুত রাখা হয়। গাছগুলো পাচার করতে পাহাড় কেটে গাড়ির রাস্তা করা হয়। অনুমোদন ছাড়া অবৈধ এসব কাজে লোহাগাড়ার চৌধুরী পাড়ার মোরশেদ আলম চৌধুরী ও তার ভাই খোরশেদ আলম চৌধুরী জড়িত রয়েছেন।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.আরিফুল হক বেলাল বলেন, আজ সকালে পুলিশের সহযোগিতায় ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এর আগে, শিল ঝিরি এলাকায় গাছ টানা একটি পোষা হাতি আটক করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে বন বিভাগের অভিযানিক দলটি ওই স্থানে পৌঁছালে রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছে হাতিটি সোপর্দ করেন তারা।