আজ ৩০ মার্চ। নাটোরের লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস। ১৯৭১ সালে এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে প্রায় ৪০ জন বাঙালি শহিদ হন।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ময়না স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় শহিদদের প্রতি সম্মান জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ। উপস্থিত ছিলেন- লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানসহ অনেকে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী তিনটি জিপ ও ছয়টি ট্রাক নিয়ে পাবনার নগরবাড়ি থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহীর দিকে রওনা দেয়। পথে পাবনার দাশুড়িয়া ও রাজাপুরে মুক্তি পাগল জনতার বাধার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় পাক বাহিনীর একটি দল কাঁচা রাস্তা দিয়ে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া এলাকার ময়না গ্রামে প্রবেশ করে গুলি চালাতে শুরু করে। তারা ৪০ জনকে হত্যা করে। পরে মুক্তি পাগল জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর হাতে পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান ধরা পড়েন। ৩১ মার্চ লালপুর উপজেলার শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাজা খানসহ ৯ পাকসেনা নিহত হন।
১৯৯৯৮ সালের ৩০ মার্চ ওই যুদ্ধে শহিদদের স্মরণে ময়না গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মমতাজ উদ্দিন শহিদ স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন।