রাজশাহী চিনিকলের সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) প্রকৌশলী সামিউল ইসলামের শাস্তির দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চিনিকলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, গত ২৪ মার্চ এক শ্রমিকের কোয়ার্টারে পানির সমস্যা সমাধানের বিষয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রকৌশলী সামিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় উত্তেজিত হয়ে সিবিএ নেতা রফিকুলকে রড দিয়ে আঘাত করেন ওই প্রকৌশলী। পরে শ্রমিকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ ঘটনায় ওই প্রকৌশলীর কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে কর্তৃপক্ষ। সিবিএ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছেও কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। এছাড়া, তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল বাশার শ্রমিকদের সঙ্গে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছেন।
সোমবার আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে বক্তব্য দেন- চিনিকল সিবিএর সভাপতি মাসুদ রানা। তিনি বলেন, প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম পণ্যসেবা ও বাৎসরিক বরাদ্দ খাতের অর্থ সংস্কার এবং মেরামতের নামে লুটপাট করছেন। এমডি আবুল বাশার তার কাছ থেকে সুবিধা নেন বলে সবকিছু জেনেও চুপ থাকেন। সমাবেশে মাসুদ রানা এই প্রকৌশলীকে দ্রুত অবসারণের দাবি জানান। তা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, যার হাজার হাজার অনিয়ম, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের শাস্তি দিয়ে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। একজন শ্রমিককেও যদি কোনরকম শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে চিনিকলে যে ঘটনা ঘটবে তার জন্য কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবে। এই পরিস্থিতি এড়াতে তিনি দ্রুত সামিউলকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
জানতে চাইলে চিনিকলের এমডি আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা চিনিকলের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছিলাম। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিন জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রকৌশলীসহ তিন জনের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। তারা এখনও জবাব দেননি। সদর দপ্তর থেকেও একটি কমিটি তদন্ত করে গেছে। সবকিছু বিবেচনার পর ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’