কুড়িগ্রামে স্বামীর ওপর রেগে নবজাতককে নিঃসন্তান এক নারীর কাছে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শিরিনা আক্তার নামের এক মা বিরুদ্ধে। বিষয়টি নবজাতকের বাবা হাবিবুর রহমান জানতে পেরে বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সন্তানকে ফিরে পেতে উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ২ ঘণ্টার মধ্যে নবজাতকে উদ্ধার করে পিতা মাতার কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের রামশিং মুন্সি পাড়া এলাকার পারভিন আক্তার (৩০) এবং তার ভাগনি নিঃসন্তান মোছা. সেলিনা বেগমের বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর সেলিনা বেগমের বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে উলিপুর থানা পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, সন্তানকে ফিরে পেয়ে দারুণ আনন্দিত তার বাবাসহ তার আত্মীয় স্বজনেরা। এছাড়াও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বিবাদ ছিল তা মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত শিরিনা আক্তার জানিয়েছেন, তার স্বামী হাবিবুর রহমান অনেকদিন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ খবর রাখেননি। ভরণ-পোষণও দেননি। এই সন্তান জন্মদিতে গিয়ে ক্লিনিকে ১৪ হাজার টাকা বিল জমে যায়। অনেকটা নিরুপায় হয়ে নবজাতককে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি।
উলিপুর উপজেলার ডক্টরস ক্লিনিকের ম্যানেজার মিল্টন বলেন, বেশকিছু দিন আগে শিরিনা আক্তার নামের এক নারীর সিজার হয় আমাদের ক্লিনিকে। পরে ওই নারীর পক্ষের লোকজন ক্লিনিকের বিল প্রায় ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করে এবং তাদের নিয়ে যায়। এরপরে কী হয়েছে তা আমরা জানি না।