সারা বাংলা

উত্তরের পথে বেড়েছে মানুষের চাপ 

নারীর টানে ব্যস্ত শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন বাকি থাকতেই উত্তরাঞ্চলের পথে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহনের চাপ। তবে, এখন এখন পর্যন্ত ভোগান্তির কোনো চিত্র দেখা যায়নি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা হলে রোববার থেকে পুরোপুরি ঈদযাত্রা শুরু হবে। 

শিল্প অধ্যুষিত আশুলিয়া, নবীনগর, বাইপাইল ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা, কোনাবাড়ি, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস টার্মিনাল ও কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। আগাম টিকিট সংগ্রহ করা যাত্রীরা আগে থেকেই পরিবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন গ্রামে। ভোগান্তি এড়াতে কেউ কেউ আবার পরিবারের সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যারা টিকেট কাটেননি বা টিকেট পাননি, তারাও যাচ্ছেন লোকাল বাসে। ঈদকে সামনে রেখে যাত্রী বেশি থাকায় লোকাল বাসে স্ট্যান্ড টিকিটে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাড়ি ফিরছেন। 

এদিকে, ঈদযাত্রা নির্বিগ্ন করতে উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার প্রবেশদ্বার গাজীপুরের চন্দ্রায় ইতোমধ্যে সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে হাইওয়ে পুলিশ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাসড়কে যাত্রী বেড়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে। পুরোপুরি ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী রোববার থেকে। কারণ তখন অধিকাংশ শিল্প কারখানায় ঈদের ছুটি ঘোষণা হবে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে চন্দ্রায় উত্তরাঞ্চলগামী অনেক মানুষকে বাড়ির দিকে রওনা হতে দেখা গেছে।  

নাটোরগামী যাত্রী আমিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এখনো স্বাভাবিক রয়েছে সবকিছু। প্রতিবছর কমবেশি যানজট ও ভোগান্তি হয়। এজন্য এবার আগেই বাড়ি যাচ্ছি। রোববার থেকে সবাই বাড়ির উদ্দেশ্য বের হবে, তখন আসলে পরিস্থিতি অনুমান করা যাবে কতটুকু ভোগান্তি হবে। 

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, মহাসড়কে যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া, যানজট মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে। আশা করছি, যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।