সারা বাংলা

ঈদ মৌসুমেও কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লি ক্রেতাশূন্য 

ঈদ মৌসুমেও কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লি ক্রেতাশূন্য। কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লি। ঈদ, পূজা, শীতকে কেন্দ্র করে এখানকার ব্যবসা সারা বছরের হলেও ঈদের মৌসুমই এখানকার ব্যবসায়ীদের মূল ভরসা। তবে এবারের ঈদ মৌসুমেও বিক্রি নেই দোকানিদের।

গত বছরের লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার বিশাল অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তৈরি পোশাকের সর্ববৃহৎ পাইকারি মার্কেট হওয়ার কারণে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লির ঈদের বেচাকেনা শুরু শবেবরাতের পর থেকে রমজানের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে মূল বেচা বিক্রি। তবে এবার তা অনেকটাই ক্রেতাশূন্য৷ 

অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, একদিকে ধারদেনা ও নানা খরচ অন্যদিকে ক্রেতাশূন্য মার্কেট। 

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, অধিকাংশ বিক্রয় কেন্দ্রই ক্রেতাশূন্য। প্রতিটি দোকানে লাখ লাখ টাকার পণ্য মজুদ রয়েছে। তবে কোনো দোকানে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেরানীগঞ্জে যে পাইকারি ক্রেতারা কেনাকাটা করতে আসেন তারাও আসছেন না। যে কারণে বিক্রি একেবারেই নেই। হঠাৎ পাইকারী ব্যবসায়ীরা না আসায় হতাশার মধ্যে দিন কাটছে ব্যবয়াসীদের৷ 

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুসলিম ঢালী বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাক পল্লিতে ক্রেতা নেই বললেই চলে৷ অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের শঙ্কায় পড়েছে৷ লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য এ বছর অনেক ব্যবসায়ী দ্বিগুণ বিনিয়োগ করেছেন। তবে শবেবরাতের পরপরই ক্রেতা বাড়লেও পুরো রমজানে ক্রেতা ছিলো না কালিগঞ্জ গামেন্টস পল্লির দোকানগুলোতে। এ কারণে ক্ষতির মুখে পড়লো গার্মেন্টস পল্লির বেশিরভাগ ব্যবসায়ী৷  বিশেষ করে পাইকারি ক্রেতারা আসছেন না বলে আমাদের বিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ।