সারা বাংলা

বন কর্মকর্তা হত্যার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘বন কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পাহাড় খেকোরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছিল, তাদের পথে কেউ বাধা হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমরাও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে একটি নজির স্থাপন করতে চাই। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের এমন বিচার করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার কথা কেউ চিন্তাও না করেন।’

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে চেক ও নগদ টাকা হস্তান্তর শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: উখিয়ায় ট্রাক চাপায় বন কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এই বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও অবগত রয়েছেন। সময় সুযোগ পেলে তিনিও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। এ ঘটনায় একজন আটক হলেও বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা তাদের আটকের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। অচিরেই সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

এর আগে মন্ত্রী নিজ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভিটিকান্দি গ্রামে নিহত বন কর্মকর্তা সাজেদুজ্জামানের বাড়িতে পৌঁছান। তিনি নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের বাবা শাহজাহান মাস্টার, মা উম্মে কুলসুম এবং স্ত্রী মুমতাহেনা সুমির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি নিহত বন কর্মকর্তার মা এবং স্ত্রীর হাতে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের একদিনের বেতন ১০ লাখ টাকার চেক এবং মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। পাশাপাশি নিহতের স্ত্রী মুমতাহেনা সুমিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। মন্ত্রী পরে নিহতের কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, বন সংরক্ষণ (প্রশাসন) আব্দুল আউয়াল সরকার, পরিবেশ বন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল আলম, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ রাতে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করার সময় বাধা দিতে গেলে ডাম্প ট্রাক চাপায় মারা যান বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।