নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় শ্বশুর-শাশুড়ির পুত্রবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার দ্বারকামারী গ্রামের নিজ বাড়ি হতে শ্বশুর মোস্তফা হোসেন (৫০) ও শাশুড়ি মিনি বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।
নির্যাতিতা গৃহবধু শেফালী বেগম জানান, সাত বছর আগে দ্বাড়িকামারী গ্রামের শাহাজাহান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শেফালী সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে সংসার করছেন তিনি। প্রেমের বিয়ের কারণে শ্বশুর বাড়িতে তাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়।
শাশুড়ি মিনা বেগম বলেন, ‘ভিডিওটি গত রমজান মাসের আগের। কে বা কারা ফেসবুকে দিয়েছে। ওই দিন আমার একমাত্র ছেলের বউ নাতিকে মারধর করলে আমি বাধা দেই। এক পর্যায় শেফালী আমার নাতি-নাতনিকে রেখে বাড়ি থেকে পালাতে থাকে। আমরা পিছনে পিছনে দৌঁড়ে রাস্তা থেকে তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসি।’
ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী জানান, স্যোসাল মিডিয়ায় নির্যাতনের ভিডিও দেখে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করা হয়। রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।