সারা বাংলা

নাটোরে অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা 

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর ভাইসহ তিন জনের হদিস মিলেছে। তবে, দুর্বৃত্তদের মারধরে আহত দেলোয়ার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে পুলিশি পাহারায় সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নাটোর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে অপহৃত দেলোয়ারকে সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় তার নিজ বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম সেখানে যান। পরে দেলোয়ারকে পুলিশি পাহারায় নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দেলোয়ারকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর ভাইকে অপহরণ

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোছা. রওশনারা বলেন, আহত দেলোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় আঘাত রয়েছে। বাইরে থেকে রক্তপাত না হলেও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছে এবং অচেতন অবস্থায় আছেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল (জটিল)। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে (দেলোয়ার) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দেলোয়ারের সঙ্গে থাকা ভাই এমদাদুল হক বলেন, আজ সকাল পৌনে ১১টার দিকে তাঁকে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন মুন্সিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা সবাই সম্ভাব্য প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের কর্মী–সমর্থক। তারা তাদের একটা কালো হাইস মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে থাকে। এ সময় তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে আহত করা হয়। তবে তাঁর ভাই দেলোয়ার হোসেনকে একই স্থান থেকে অপহরণ করার পর দুর্বৃত্তরা মারধর করেছে। তার অবস্থা ভালো নয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা করায় নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।

এ ব্যাপারে সম্ভাব্য প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি অনেক আগে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি। কিছুক্ষণ আগে পত্রিকা পড়ে ঘটনা জানলাম।’

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে অপহরণ করতে বলিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্র।’

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, সকালের ঘটনাটি তিনি জানতেন না। বিকেলের ঘটনার পর সম্ভাব্য প্রার্থী দেলোয়ারকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক অভিযান শুরু করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে দুর্বৃত্তরা তাকে (দেলোয়ার) তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। তিনি অসুস্থ। তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।