পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের শুরুর দিকে গরমের সঙ্গে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। হাসপাতালগুলোর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় করিডোরের মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে অনেক রোগীর। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। অনেক রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসক ও জনবল সংকটে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে সবাইকে তরমুজ ও বাঙ্গিসহ বাইরের খাবার পরিহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৯ জন। গত এক সপ্তাহে জেলার ৭ উপজেলা হাসপাতালে ৮৪৪ জন রোগী এই রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় কারো মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৮০ জন। পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত রয়েছে। জেলার হাসাপাতালগুলোতে ১০০০ ও ৫০০ সিসির প্রায় ৬০০০ স্যালানইন মজুত রয়েছে।
কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার জেএইচ খান লেলিন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের এখানে ১৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে গর্ভবতী, শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই তরমুজ ও বাঙ্গি খেয়েছেন। তাই এই গরমে তরমুজ ও বাঙ্গি পরিহারের পরামর্শ দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে বাইরের তেলযুক্ত খাবারও পরিহার করতে হবে। আমরা ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের বেশি পরিমাণে ডাব ও স্যালাইন পান করতে বলছি ।