সারা বাংলা

দেবে গেছে সেতুর পাটাতন, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুতে যানবাহন উঠলেই দেবে যাচ্ছে পাটাতন।এতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। দ্রুত সেতু মেরামত না করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুর কয়েকটি পাটাতন দেবে গেছে। ট্রাকসহ ভারী যানবাহন সেতুতে উঠলে পাটাতন নিচে নেমে যাচ্ছে। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে মানিকগঞ্জ-ঝিটকা-হরিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন যানবাহন ও যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বেইলি সেতুটি ২৫-২৬ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। কয়েক মাস ধরে সেতুর মাঝামাঝি স্থানে কয়েকটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে গেছে। পাঁচ-ছয় মাস আগেও একবার একটি পাটাতন মেরামত করেছিল সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বেইলি সেতুর পাশে আরেকটি সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। তবে অনেক দিন ধরে সেই সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। লেছড়াগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সুশান্ত সাহা বলেন, বেইলি ব্রিজের মাঝে স্টিলের তিনটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে আছে। সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলের সময় পাটাতন দেবে যাচ্ছে। বিকট শব্দ হচ্ছে। পাটাতনটি ধসে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গের সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছোট যানবাহন উঠলেও সেতুর পাটাতন কাত হয়ে যায়। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

বেইলি সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ইজিবাইক চলাচল করে বলে জানান স্থানীয় ইজিবাইক চালক অসিম মিয়া। তিনি বলেন, ছোট-বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। ঈদের সময় চাপও বেড়েছে। পাটাতন দেবে যাচ্ছে। ছোট যানবাহন উঠলেও কাত হয়ে যাচ্ছে, যাত্রীরা ভয় পাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানলাম। আমাদের লোকজন সেতু পরিদর্শন শেষে মেরামত করবেন।

পাশের নির্মাণাধীন সেতুর কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।