কয়েক দিনের তীব্র গরমে ফেনীতে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, মুক্তবাজার, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ছোট আকারের প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
আমিনুল ইসলাম ফিরোজ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।’
শহরের ট্রাংক রোডে কথা হয় তৌহিদুল নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ‘১২০ টাকার নিচে তেমন কোন ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে, কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।’
শহরের মুক্তবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ বলেন, ‘গরমে গত কয়েক দিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।’
রিয়াজ নামে আরেক ডাব বিক্রেতা বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয়, সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।
শহরের সদর হাসপাতাল মোড় এলাকার ডাব ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ‘গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।’ ফেনী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় অর্ধশতাধিক খুচরা ব্যবসায়ী ডাব বিক্রি করছে।