জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন রিসোর্ট ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করা ৭ একর ৫৩ শতাংশ বনভূমি উদ্ধার করেছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম’র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় ওই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এরমধ্যে শ্রীপুর উপজেলায় ৪ একর ৫৬ শতাংশ এবং সদর উপজেলায় ২ একর ৯৭ শতাংশ বনভূমি দখলমুক্ত করেছেন।
সোমবার গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল হকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ম্যাক্সভ্যালি রিসোর্ট’র দখল করা ৮৫ শতাংশ, অনন্ত ভবন কতৃর্ক দখল করা ৯৫ শতাংশ, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট কতৃর্ক দখল করা ৬৩ শতাংশ এবং গ্রিনটেক রিসোর্ট কতৃর্ক দখল করা ৫৪.৫৭ শতাংশ বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। গাজীপুর সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২ একর ৯৭ শতাংশ সরকারি বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে বন্যপ্রাণি বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মোজাম্মল হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বনকর্মকর্তা বলেন, ম্যাক্সভ্যালির মালিক একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল পরিবারের সঙ্গে যুক্ত, অনন্ত ভবনের অংশের দখলদার স্থানীয় অংক বাবু, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের পূর্বাংশের দখলদার হলেন একজন নাট্যকর্মী এবং রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের পূর্বাংশের দখলদার হলেন সাবেক কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং গ্রিনটেক রিসোর্ট স্থাপনকারী ঔষধ উৎপাদনকারী এক প্রতিষ্ঠানের মালিক।
এ ছাড়া ইতোপূর্বে শ্রীপুর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসার নেতৃত্বে পরিচালিত পৃথক অভিযানে ফজলু পোল্ট্রি ফার্মের দখল হতে ১.৩৫ একর, আল নূর হ্যাচারির দখল হতে ১.৪১ একর, মাটির মায়া ইকো রিসোর্ট হতে ১.৫ একর এবং ফাউগান ইকো রিসোর্ট হতে ৩০ শতাংশ বনবিভাগের জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের এমন অভিযান চলমান থাকবে। একই সঙ্গে নদী, খাল ও বনভূমি দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।