রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন রাবেয়া সুলতানা মিতু। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল ঘোষিত বেসরকারী ফলাফল অনুযায়ী, ‘হ্যাঙ্গার প্রতীকে’ রাবেয়া সুলতানা পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু শামা ‘নারকেল গাছ’ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট।
নির্বাচনে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম রিপন ‘মোবাইল ফোন’ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩৯ ভোট। এছাড়া সাবেক ছাত্র শিবির নেতা মিজানুর রহমান ‘চামচ’ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭, জামায়েত নেতা সিরাজুল হক ‘জগ’ প্রতীকে ৩৮৪, আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন ‘রেল ইঞ্জিন’ প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ এবং বিএনপি কর্মী জিয়ারুল ইসলাম ‘ক্যারাম বোর্ড’ প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।
রাবেয়ার স্বামী আব্বাস আলী এই পৌরসভার সাবেক মেয়র। পরপর দুইবার আব্বাস আলী আওয়ামী লীগের টিকিটে এই পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের নভেম্বরে মেয়র থাকাকালে পৌর আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক আব্বাস আলীর একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। ঘরোয়া আলাপের এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তিনি দলীয় পদ হারান। গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় একবছর কারাভোগ করেন। মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে মেয়রের পদও হারান।
পরে এই পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আইনি বাধার কারণে আব্বাস আলী এই উপনির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও প্রার্থী করেন স্ত্রী রাবেয়া সুলতানাকে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। জীবনে প্রথমবার কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাবেয়া বিপুল ভোটেই জিতেছেন স্বামীর জনপ্রিয়তার কারণে।
নির্বাচনের প্রচার চলাকালে রাবেয়া সুলতানা শুধু পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতেন। মিছিল-শোডাউনে নেতৃত্ব দিতেন স্বামী আব্বাস আলী। স্থানীয়ভাবে ভোটের ফল জেনে কাটাখালী বাজারে বক্তব্য দেন তিনিই। আব্বাস আলী বলেন, ‘ভোটের এই ফল সব ধরনের অন্যায়-অবিচার ও জুলুমের জবাব। এই জয় কাটাখালী পৌরসভার সকল মানুষের জয়।’