ভোলায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারে এ সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় নির্বাচনী অফিস, মাইক ও প্রচারনার অটোরিকশা ভাঙচুরসহ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তবে এখনো ওই এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় লঞ্চযাত্রীসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের তথ্য থেকে জানা গেছে। আহতদের ভোলা, বরিশাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোলার ইলিশা জংশন বাজার এলাকায় শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে গণসংযোগ চলাকালীন সময়ে আনরস প্রতীকের প্রার্থী ভোলা সদর উপজেলা মো. মোশারফ হোসেন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইউনুছের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালীন দু'পক্ষের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও একটি মাইকসহ প্রচারের অটোরিকশা ভাঙচুরের পাশাপাশি রাস্তায় থাকা দুটি মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন আহত হয়েছে।এর মধ্যে ১৪ জনকে রাত ১০ টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও গুরুতর একজনকে বরিশালে প্রেরণ করা হয় ।
এ ঘটনায় দুই প্রার্থীর পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি একে অপরকে দায়ী করা হয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচনে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন বলেন, এখানে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সদস্যরা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে সকলকে কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের যদি কোনো বিষয় পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।