কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলি খেলায় দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মণিপুর গ্রামের বাঘা শরীফ বলি। শনিবার (১১ মে) বিকেলে কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলার ৬৯তম আসরের ফাইনালে তিনি কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ছনখোলা পাড়ার শাহেদ হোসেন কালু বলিকে পরাজিত করেন। বাঘা শরীফ ১৬ দিন আগে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জব্বারের বলি খেলাতেও চ্যাম্পিয়ন হন।
এর আগে, ১ নম্বর মেডেলের বাছাইয়ের প্রথম খেলায় মহেশখালীর শফি বলিকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরিফ। ওই মেডেলের দ্বিতীয় বাছাইয়ে কুমিল্লা সদরের রাশেদ মালকে পরাজিত করেন কালু বলি। ফাইনালে ৮ মিনিট লাড়াইয়ের পর বাঘা শরীফের কাছে হার মানতে হয় কালুকে।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠলো ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলি খেলার
দুই নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মহেশখালীর মোহাম্মদ হোসেন বলি। ৩ নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মহেশখালীর শফি উল্লাহ বলি।
বলি খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গ্রাম্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। যারা খেলছেন, তাদের যত্ন করা আমাদের উচিত। গ্রামীন খেলাধুলাকে আরো প্রসার করতে উচ্চ পর্যায়ে সুপারিশ থাকবে।
এসময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন ও খেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন কবিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ বলিকে ২৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি, রানার আপ কালু বলিকে ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি দেওয়া হয়। ২ নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ হোসেন বলীকে ১২ হাজার টাকা প্রাইজমানি, ট্রফি এবং রানার আপ লালু বলিকে ৮ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি দেওয়া হয়। ৩ নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ শফি উল্লাহ বলিকে ১০ হাজার টাকা এবং ট্রফি এবং রানার আপ আমিন বলিকে ৭ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ডিসি সাহেবের বলি খেলার ৬৮তম আসরে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হন কুমিল্লার বাঘা শরীফ ও কক্সবাজারের উখিয়ার নুর মোহাম্মদ। প্রতিযোগিতায় কেউ কাউকে পরাজিত করতে না পারায় তাদের যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছিল আয়োজক কমিটি।